রাজ্যে শিক্ষক নিয়োগ দুনীর্তির অভিযোগে ইতিমধ্যে একাধিক মামলা হয়েছে হাইকোর্টে। গ্রেফতার হয়েছেন অনেকেই। এখনো তদন্ত চালাচ্ছে সিবিআই-ইডি। কোর্টে তারা রোজই নতুন নতুন তথ্য পেশ করছে।
সম্প্রতি মাদ্রাসা সার্ভিস কমিশন নিয়ে নিয়োগ নিয়ে আদালতের ক্ষোভের মুখে পড়ল কমিশন। পশ্চিমবঙ্গ মাদ্রাসা সার্ভিস কমিশনের শেষ নিয়োগের পরীক্ষা হয়েছিল ২০১০ সালে। কিন্তু ১৪ বছর পেরিয়ে গেলেও সেই নিয়োগ-প্রক্রিয়া এখনো সম্পন্ন হয়নি।
এই মুহূর্তে রাজ্যের মাদ্রাসাগুলিতে প্রায় ৩০০০ শূন্যপদ পড়ে আছে। কিন্তু দীর্ঘদিন ধরে নিয়োগ হচ্ছে না, এই অভিযোগ তুলে হাইকোর্টের দারস্থ হয়েছিল একদল আবেদনকারী। ১২ জুন মামলাটি উঠেছিল মহামান্য বিচারপতি হরিশ ট্যান্ডন এবং মহামান্য বিচারপতি প্রসেনজিৎ বিশ্বাসের ডিভিশন বেঞ্চে।
এদিন মামলাকারীরা ডিভিশন বেঞ্চে জানিয়েছেন যে, ২০১৯ সালে মহামান্য বিচারপতি রাজশেখর মান্থার একক বেঞ্চে মামলাটি উঠেছিল। তখন বিচারপতি মান্থা এই ৩০০০ শূন্যপদ পূরণের নির্দেশ দিয়েছিলেন।
এর বিরুদ্ধে রাজ্য সরকার ডিভিশন বেঞ্চে যায় কিন্তু ডিভিশন বেঞ্চ একক বেঞ্চের রায়ই বজায় রাখে। কিন্তু সেই রায় সরকার কার্যকর করেনি। এ্ররপর কোভিদের কারণে সরকার আরো ৬ মাস সময় চায়। সেই সময় পেরিয়ে গেলেও একক বেঞ্চের রায় কার্যকর করা হয়নি।
এদিন আদালত মাদ্রাসা সার্ভিস কমিশনের কাছে এই টালবাহানার কারণ জানতে চাইলে, কমিশন জানায়, তারা ওই পরীক্ষা বাতিল করে নতুন করে ৩০০০ শূন্যপদে নিয়োগ করতে চায়। কিন্তু এই ঘটনায় তীব্র অসন্তোষ প্রকাশ করেন মহামান্য বিচারপতিদ্বয়।
তাঁরা কমিশনকে সরাসরি নির্দেশ দেয়, আর কোনো অতিরিক্ত সময় নয়, আগামী তিনমাসের মধ্যে এই নিয়োগ প্রক্রিয়া সম্পন্ন করতে হবে। শুধু তাই নয় এতদিন দেরি করার জন্য কমিশনকে ২ লক্ষ টাকা জরিমানা করে আদালত। এই ঘটনায় আশার আলো দেখছেন চাকরিপ্রার্থীরা।