পশ্চিমবঙ্গ জুড়ে শুরু হয়েছে নির্বাচনের আগে তৎপরতা। গণতন্ত্রের ভিত্তি মজবুত রাখতে সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ যে জিনিস, তা হলো নিখুঁত ভোটার তালিকা।
সেই লক্ষ্যেই পশ্চিমবঙ্গের নির্বাচন কমিশন নেমেছে এক বিশেষ অভিযানে নাম “Special Intensive Revision (SIR)” বা বিশেষ নিবিড় পুনর্বিবেচনা প্রক্রিয়া।
কী হচ্ছে এই বুথ ম্যাপিংয়ে?
এই প্রক্রিয়ার মূল অংশ হল বুথ ম্যাপিং, যেখানে প্রতিটি ভোটকেন্দ্রকে নতুনভাবে মূল্যায়ন করা হচ্ছে।
বুথ ম্যাপিং মানে শুধু বুথের নাম নয় এখানে দেখা হচ্ছে:
- প্রতিটি ভোটকেন্দ্রের ভৌগোলিক অবস্থান ও মানচিত্রে চিহ্নিতকরণ
- বুথের অ্যাক্সেসিবিলিটি বিশেষ করে বৃদ্ধ ও প্রতিবন্ধী ভোটারদের সুবিধা কতটা
- নিরাপত্তা, জল, বিদ্যুৎ ও যোগাযোগ ব্যবস্থা ঠিকঠাক আছে কিনা
- এবং সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ, ভোটার তালিকায় কারও নাম বাদ পড়েছে বা নতুন নাম যুক্ত করার প্রয়োজন আছে কিনা তা বিশদভাবে যাচাই করা হচ্ছে
লক্ষ্য একটাই নির্ভুল ও আধুনিক ভোটার তালিকা
নির্বাচন কমিশনের এক আধিকারিক জানিয়েছেন,
“আমরা চাই আগামী নির্বাচন যেন একেবারে ত্রুটিমুক্ত হয়। বুথ ম্যাপিং আমাদের সেই দিকের প্রথম ধাপ। রাজ্যের প্রতিটি জেলা এখন সর্বোচ্চ গতিতে কাজ করছে।”
এই উদ্যোগে যুক্ত হয়েছে ডিজিটাল টুলস ও জিও-ট্যাগিং প্রযুক্তি, যাতে প্রতিটি বুথের সঠিক অবস্থান ও তথ্য অনলাইনে রিয়েল টাইমে আপডেট করা যায়।
কখন শেষ হবে এই কাজ?
সূত্র অনুযায়ী, নভেম্বরের মধ্যেই পুরো বুথ ম্যাপিং সম্পন্ন করার লক্ষ্য নিয়েছে কমিশন।
এরপর প্রকাশ করা হবে নতুন ভোটার তালিকা, যেখানে থাকবে:
- নতুন ভোটারদের নাম,
- মৃত বা স্থানান্তরিত ব্যক্তিদের নাম বাতিল,
- এবং পুরনো তথ্য বা ঠিকানার সংশোধন।
কেন এত গুরুত্ব এই পদক্ষেপের?
আসন্ন নির্বাচনের আগে এই উদ্যোগ ভোটারদের কাছে এক বড় বার্তা
“তোমার ভোট, তোমার অধিকার, আর সেটি যেন কোনোভাবেই বাদ না যায়।”
একটি স্বচ্ছ, নিরাপদ ও ডিজিটালি সঠিক ভোটার তালিকা মানেই আরও ন্যায়সংগত ও বিশ্বাসযোগ্য নির্বাচন।
আরো পড়ুন: ক্যানসার রুখতে এলো পশ্চিমবঙ্গের নতুন AI-চালিত মোবাইল অ্যাপ
গণতন্ত্রের শক্তি শুরু হয় সঠিক ভোটার তালিকা দিয়ে
এই নতুন বুথ ম্যাপিং ও ভোটার তালিকা হালনাগাদের মাধ্যমে পশ্চিমবঙ্গ আরও এক ধাপ এগিয়ে গেল নির্ভুল গণতান্ত্রিক ব্যবস্থার পথে। নির্বাচনের আগে এই প্রস্তুতি স্পষ্ট ইঙ্গিত দিচ্ছে “স্বচ্ছ ভোটই আসল শক্তি।”