লোকসভা নির্বাচনে তৃণমূল সারা রাজ্যে চমকপ্রদ ফল করলেও অধিকারী গড়ে থাবা বসাতে ব্যর্থ হয়েছে। গত লোকসভা নির্বাচনে পূর্ব-মেদিনীপুরের দুটি আসন কাঁথি এবং তমলুক তৃণমূলের দখলেই ছিল। কারণ বর্তমান বিজেপি নেতা তথা বিধানসভার বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী তখন তৃণমূল মন্ত্রীসভার গুরুত্বপূর্ণ মন্ত্রী ছিলেন।
কিন্তু ২০২০ সালে শুভেন্দু বিজেপিতে যোগদান করেন এবং ২০২১ সালের বিধানসভা নির্বাচনে নন্দীগ্রাম আসনে তাঁর কাছে পরাজিত হয় রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী স্বয়ং মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। এরপর থেকেই তৃণমূল কার্যত মরিয়া ছিল মেদিনীপুরের মাঠিতে ঘাসফুল ফোটাতে। সেকারণে সদ্য সমাপ্ত লোকসভা নির্বাচনে হাইকোর্টের প্রাক্তন বিচারপতি অভিজিৎ গাঙ্গুলির বিরুদ্ধে তৃণমূল বাজি ধরেছিল দলেরই তরুণ তুর্কি তথা আইটি সেলের কনভেনার দেবাংশু ভট্টাচার্যকে।
২০২১ সালে দেবাংশু ভট্টাচার্যকে টিকিট না দেওয়া নিয়ে রাজনৈতিক মহলে যথেষ্ট শোরগোল তৈরি হয়েছিল। কিন্তু লোকসভার টিকিট পাওয়ার পর বাড়ি বাড়ি প্রচার, রোড শো কোনোকিছুতেই খামতি রাখেননি এই জনপ্রিয় যুবনেতা। লোকসভা নির্বাচনে পশ্চিমবঙ্গের মাটিতে কার্যত ভরাডুবি ঘটেছে বিজেপির।
কিন্তু তমলুক আসনটি তৃণমূলের কাছ থেকে ছিনিয়ে নিয়েছে বিজেপি। বিজেপির অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়ের কাছে ৭৭৭৩৩ ভোটে পরাজিত হয় দেবাংশু। এরপরই দলের একাংশের বিরুদ্ধে ক্ষোভ উগরে দেন তিনি। দলীয় কর্মীদের একাংশ নিষ্ক্রিয় থাকার কারণে এই পরাজয় বলে মনে করেন তিনি। ইতিমধ্যেই দলীয় নেতৃত্বকে বিষয়টি জানিয়েছেন এই যুবনেতা। এখন দল কী ব্যবস্থা নেয়, সেটাই দেখার।