বিশ্বজয়ের গৌরবে উজ্জ্বল ভারতীয় মহিলা ক্রিকেট দল। দেশের মাটিতে ফের এক নতুন ইতিহাস গড়ে তুলেছে হরমনপ্রীত কৌরের নেতৃত্বাধীন এই দল। সেই ঐতিহাসিক মুহূর্তের আনন্দ ভাগ করে নিতে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির বাসভবনে হাজির হয়েছিলেন বিশ্বজয়ী ক্রিকেটাররা। দিল্লির ৭, লোককল্যাণ মার্গে প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে দেখা করতে গিয়েছিলেন তাঁরা, পরনে গর্বের প্রতীক ভারতীয় দলের ব্লেজার।
প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে বসে বেশ কিছুক্ষণ গল্পে মেতে ওঠেন খেলোয়াড়রা। বিশ্বকাপ ফাইনালের রোমাঞ্চ থেকে শুরু করে তাঁদের প্রতিদিনের অনুশীলন, মাঠের বাইরের জীবন সবই উঠে আসে আলোচনায়। সেই সময় এক মজার মুহূর্ত তৈরি হয়, যখন হারলিন দেওল হেসে প্রশ্ন করেন, “আপনি এত উজ্জ্বল কীভাবে? কীভাবে ত্বকের যত্ন নেন?” প্রশ্ন শুনে উপস্থিত সবাই হেসে ফেলেন। মোদি হেসে জবাব দেন, “আমি ওসব নিয়ে ভাবি না।”
হারলিনের পাশে বসা স্নেহ রানা সঙ্গে সঙ্গে বলেন, “দেশবাসী আপনাকে ভালোবাসে।” তাতে প্রধানমন্ত্রী মুচকি হেসে বলেন, “হ্যাঁ, ঠিকই। এটাই তো শক্তি, যা এতদিন সরকারে রেখেছে।” উপস্থিতদের মধ্যে ছিলেন দলের হেড কোচ অমল মজুমদারও। মজা করে তিনি বলেন, “স্যর, দেখছেন তো কারা আমার টিমে! এদের জন্যই আমার চুল পেকে গেছে!” এই মন্তব্যে আবারও হাসির রোল ওঠে ঘরে।
বিশ্বকাপের সেরা ক্রিকেটার দীপ্তি শর্মার হাতের হনুমানজির ট্যাটু নিয়েও কৌতূহল প্রকাশ করেন মোদি। ইনস্টাগ্রামের বায়োতে থাকা ‘জয় শ্রীরাম’ লেখার প্রসঙ্গ তুলতেই দীপ্তি বলেন, “এই বিশ্বাসই আমাকে শক্তি জোগায়।”
শেষে দলের পক্ষ থেকে উপহার হিসেবে প্রধানমন্ত্রীকে দেওয়া হয় একটি বিশেষ জার্সি যার পিঠে লেখা ‘নমো’ এবং নম্বর ‘১’। জার্সিটিতে স্বাক্ষর করেন ভারতীয় স্কোয়াডের প্রতিটি সদস্য। হাসি-মজায় ভরা সেই সাক্ষাৎ যেন বন্ধুত্ব, শ্রদ্ধা আর গর্বের এক অনন্য মেলবন্ধন হয়ে রইল।
আরো পড়ুন: দক্ষিণ আফ্রিকার বিরুদ্ধে টেস্ট দলে ফিরলেন ঋষভ পন্থ, আবারও উপেক্ষিত মহম্মদ শামি
প্রসঙ্গত, ২০১৭ সালে বিশ্বকাপ ফাইনালের পরও মহিলা দলের সঙ্গে দেখা করেছিলেন মোদি। এবার ইতিহাস গড়া দলের সঙ্গে তাঁর সেই পুনর্মিলন আরও একবার দেশের ক্রীড়াঙ্গনে অনুপ্রেরণার বার্তা ছড়িয়ে দিল।



