ইডেন গার্ডেন্সে ঘরের মাটিতেই স্পিনের জালে আটকে গেল টিম ইন্ডিয়া। দক্ষিণ আফ্রিকার স্পিনারদের টার্নার পিচে একের পর এক ব্যর্থ হলেন ভারতের তাবড় তাবড় ব্যাটাররা।
যে পিচ স্পিনে বাড়তি সাহায্য দেবে ভেবেছিল ভারতীয় টিম ম্যানেজমেন্ট, সেই পিচই বুমেরাং হয়ে ফিরে এল। ম্যাচ শেষ হতেই উচ্ছ্বাস লুকোতে পারেননি প্রোটিয়া কোচ শুকরি কনরাড। দলের স্পিনারদের পারফরম্যান্সে তিনি দিলেন দারুণ প্রশংসা।
স্পিনে মাত করল কেশব হার্মার জুটি
ইডেনের টার্নার উইকেটে কেশব মহারাজ আর সিমন হার্মারের সামনে প্রায় অসহায় হয়ে পড়লেন ঋষভ পন্থ, শ্রেয়স আইয়ারদের মতো ব্যাটাররা। স্পিনের ফাঁদ পাতা হয়েছিল নিখুঁতভাবে, আর ভারতীয়রা সেই ফাঁদ থেকে বেরোতেই পারলেন না। কনরাড ম্যাচ শেষে বলেন, “ভারতে আমরা মানসম্পন্ন স্পিনারদের একটা দল নিয়ে এসেছি। আগে এমন স্পিন আক্রমণ তৈরি করতে সমস্যা হত। এখন দলের মানসিকতা বদলেছে। স্পিনারদের উপর বিশ্বাস রাখার ফল এবার সবাই দেখল।”
আরো পড়ুন: ভুটান থেকে ফিরেই হাসপাতালে মোদি, দিল্লি বিস্ফোরণে আহতদের খোঁজ নিলেন নিজে
দক্ষিণ আফ্রিকায় ‘স্পিন বিপ্লব’
প্রোটিয়া কোচ আরও জানান, “দলের তরুণরা এখন বুঝতে পারছে, আমরা স্পিনারদের প্রতিও সমান গুরুত্ব দিই। দক্ষিণ আফ্রিকা আর শুধু পেস বোলিংয়ের দেশ নয়।” তাঁর কথার যথার্থতা মাঠেই প্রমাণ করেছেন হার্মার। দুই ইনিংস মিলিয়ে ৮ উইকেট তুলে নিয়ে তিনি এখন দক্ষিণ আফ্রিকার ‘নয়নের মণি’। মাত্র ১২৪ রানের লক্ষ্য তাড়া করতে নেমে ভারত গুটিয়ে গেল ৯৩ রানেই। ৩০ রানের স্পষ্ট ব্যবধানে ম্যাচ হাতছাড়া হল রোহিত শর্মাদের।
স্পিন ইউনিটে আরও গভীরতা
এই ম্যাচে খেলেনইনি সেনুরান মুত্থুস্বামী যিনি পাকিস্তানের বিরুদ্ধে ১১ উইকেট ফেলে সিরিজ সেরার পুরস্কার জিতেছিলেন। তাই বোঝাই যাচ্ছে দক্ষিণ আফ্রিকার স্পিন বিভাগ কতটা গভীর আর প্রস্তুত। একসময় উপমহাদেশে এসে স্পিনারদের অভাবে ভুগত প্রোটিয়ারা। সেই দক্ষিণ আফ্রিকাই এখন স্পিন বিপ্লবের নতুন গল্প লিখছে।
২০০০ সালে হ্যানসি ক্রোনিয়ের নেতৃত্বে ভারতে সিরিজ জিতেছিল দক্ষিণ আফ্রিকা। এবার গুয়াহাটি টেস্টে জিততে পারলে ১৫ বছর পর আবার সিরিজ জয়ের স্বপ্ন পূরণ করতে নামবে টেম্বা বাভুমার দল।



