জিম্বাবোয়ে ক্রিকেট দলে এক বড় ধাক্কা। দেশের অন্যতম অভিজ্ঞ অলরাউন্ডার শন উইলিয়ামসকে জাতীয় দল থেকে চিরতরে বাদ দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে জিম্বাবোয়ে ক্রিকেট বোর্ড। মাদকাসক্তির কথা স্বীকার করার পরেই এই কঠিন সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।
সম্প্রতি বিশ্বকাপ যোগ্যতা অর্জন পর্বের খেলায় অংশ না নেওয়ার পর থেকেই সন্দেহ দেখা দিয়েছিল। তদন্তে জানা যায়, শন মাদকাসক্তির সমস্যায় ভুগছেন এবং ইতিমধ্যে পুনর্বাসন কেন্দ্রে চিকিৎসা শুরু করেছেন। বোর্ডের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, “তিনি নিজেই জানিয়েছেন মাদকের কারণে জীবনে ভারসাম্য হারিয়েছেন। আমরা তাঁর সুস্থতার কামনা করছি, তবে জাতীয় দলের জন্য আর কখনও তাঁর নাম বিবেচনা করা হবে না।”
বোর্ডের বিবৃতিতে আরও বলা হয়েছে, শন অতীতে একাধিকবার শৃঙ্খলা ভেঙেছেন এবং দলের হয়ে খেলতে অস্বীকার করেছেন, যার ফলে দলের প্রস্তুতি ও পারফরম্যান্সে প্রভাব পড়েছে। এইসব ঘটনার পর সবদিক ভেবে দেখা শেষে বোর্ড সিদ্ধান্ত নেয় শন উইলিয়ামসের কেন্দ্রীয় চুক্তি ২০২৫ সালের পর আর নবীকরণ করা হবে না।
তবে বোর্ড তাঁর দীর্ঘদিনের অবদানও স্বীকার করেছে। প্রায় দু’দশক ধরে জিম্বাবোয়ের হয়ে ২৭৩টি আন্তর্জাতিক ম্যাচ খেলেছেন শন। ব্যাট হাতে করেছেন ৯০০০-র বেশি রান, বল হাতে নিয়েছেন ১৫০-র বেশি উইকেট। দেশের ক্রিকেটে তাঁর অবদান অস্বীকার করা যায় না।
আরো পড়ুন: বিশ্বজয়ের স্মৃতি শরীরে গাঁথলেন হরমনপ্রীত
তবুও শেষ পর্যন্ত ব্যক্তিগত ভুলের জেরেই বন্ধ হল এক সম্ভাবনাময় অধ্যায়। বর্তমানে রিহ্যাব সেন্টারে চিকিৎসাধীন শন জানিয়েছেন, “আমি নিজের জীবনকে নতুনভাবে গড়ে তুলতে চাই।” তবে জাতীয় দলের দরজা যে তাঁর জন্য আর কখনও খুলবে না, তা একপ্রকার নিশ্চিত।
ক্রিকেটপ্রেমীদের মনে এখন একটাই প্রশ্ন যদি সময়মতো সাহায্য পেতেন, তাহলে কি ভিন্ন হতো শন উইলিয়ামসের পরিণতি?



