ভারতীয় মহিলা ক্রিকেট দলের ঐতিহাসিক বিশ্বজয়ের পর এবার তাঁদের জন্য এল এক বিশেষ মুহূর্ত। দিল্লির ৭ নম্বর লোককল্যাণ মার্গে অবস্থিত প্রধানমন্ত্রীর বাসভবনে বৃহস্পতিবার বিশ্বজয়ী দলকে সংবর্ধনা দিলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি।
ভারতীয় দলের ব্লেজার পরে হরমনপ্রীত কৌর, দীপ্তি শর্মা, হারলিন দেওল, স্নেহ রানা সহ গোটা দল হাজির হয়েছিলেন মোদির বাসভবনে। হাসি-আড্ডায় জমে ওঠে পুরো পরিবেশ।
মজায় মেতে উঠলেন প্রধানমন্ত্রী ও ক্রিকেটাররা
সংবর্ধনা সভায় ক্রিকেটারদের সঙ্গে বেশ খানিকক্ষণ কথাবার্তা হয় প্রধানমন্ত্রীর। ফাইনালের রোমাঞ্চ থেকে শুরু করে তাঁদের প্রতিদিনের জীবনযাত্রা সব কিছু নিয়েই খোলামেলা আলোচনা চলে। সেই সময় হারলিন দেওল হঠাৎ মজার ছলে প্রশ্ন করে বসেন, “স্যর, আপনি এত উজ্জ্বল কীভাবে থাকেন? কীভাবে ত্বকের যত্ন নেন?” প্রশ্ন শুনে সবাই হেসে ফেলেন। মোদি হাসিমুখে জবাব দেন, “আমি এসব নিয়ে ভাবি না।” পাশে বসা স্নেহ রানা সঙ্গে সঙ্গে বলে ওঠেন, “দেশবাসী আপনাকে ভালোবাসে।” তাতে প্রধানমন্ত্রী বলেন, “হ্যাঁ, এটাই তো আমার শক্তি। যা এতদিন আমাকে সরকারে রেখেছে।”
আরো পড়ুন: ভারতীয় মহিলা ক্রিকেট দলের বিশ্বজয়ের আনন্দে মোদির সংবর্ধনা
হাস্যরসে ভরা সংলাপ, উপহারস্বরূপ ‘নমো’ লেখা জার্সি
এরপর দলের হেড কোচ অমল মজুমদার হেসে বলেন, “দেখছেন স্যর, কাদের সঙ্গে আমার ওঠাবসা! এদের জন্যই আমার চুল পেকে গিয়েছে!” হাসির রোল ওঠে ঘর জুড়ে। আলোচনার ফাঁকে মোদি খেয়াল করেন দীপ্তি শর্মার হাতে ভগবান হনুমানের ট্যাটু। তিনি জানতে চান, “তুমি ইনস্টাগ্রামে ‘জয় শ্রীরাম’ লেখো কেন?” দীপ্তি জবাব দেন, “ওগুলোই আমাকে শক্তি দেয়।”
শেষে দলের পক্ষ থেকে প্রধানমন্ত্রীর হাতে তুলে দেওয়া হয় একটি বিশেষ উপহার ‘নমো’ লেখা ১ নম্বর ভারতীয় জার্সি, যার পিছনে স্কোয়াডের প্রত্যেক সদস্যের সই। মোদি মজার ছলে জিজ্ঞেস করেন, “দলে এমন কেউ আছে যে সবাইকে হাসায়?” সঙ্গে সঙ্গে সকলে জেমাইমা রডরিগেজের দিকে তাকান। জেমাইমা হেসে বলেন, “হারলিনও কিন্তু কম নয়!”
২০১৭ সালের বিশ্বকাপের পরও ভারতীয় মহিলা দলের সঙ্গে দেখা করেছিলেন প্রধানমন্ত্রী। এবার ইতিহাস গড়া দলের সঙ্গে সেই স্মৃতি নতুন করে ফিরে এল তাঁর মনে।



