সরকারি নির্দেশ অনুসারে, রাজ্যের সমস্ত উৎপাদক, ডিস্ট্রিবিউটর ও হোলসেল বিক্রেতাদের বলা হয়েছে, ৩০ নভেম্বর ২০২৫-এর মধ্যে যতটা সম্ভব পুরনো দামে স্টক বিক্রি করে ফেলতে হবে। ওই তারিখের পর আর আগের দামে মদ বিক্রি করা যাবে না। যে স্টক নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যে বিক্রি করা সম্ভব হবে না, তার উপর নতুন হারে কর প্রযোজ্য হবে।
নতুন দামের স্টিকার বাধ্যতামূলক
প্রশাসনের নির্দেশে বলা হয়েছে, পুরনো দামে বাকি থাকা মদের বোতলে নতুন দামের স্টিকার লাগানো বাধ্যতামূলক। যাতে গ্রাহকেরা সংশোধিত মূল্যের তথ্য সহজে জানতে পারেন। সরকারি বিজ্ঞপ্তির কপি ইতিমধ্যেই সংশ্লিষ্ট সংস্থাগুলির কাছে পাঠানো হয়েছে।
ব্যবসায়ীদের আগাম প্রস্তুতির নির্দেশ
নতুন নিয়ম কার্যকর হওয়ার আগে প্রত্যেক ব্র্যান্ডমালিক ও পরিবেশককে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে, যেন তারা যথাসময়ে নিবন্ধন ও লেবেল পরিবর্তনের প্রক্রিয়া সম্পূর্ণ করেন। আবগারি দফতরের এই সিদ্ধান্তের ফলে ডিসেম্বরের শুরুতেই রাজ্যের মদের বাজারে কিছুটা অস্থিরতা দেখা দিতে পারে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে। তবে প্রশাসনের আশা, ব্যবসায়ীরা আগাম প্রস্তুতি নিলে বড় কোনও জটিলতা হবে না।
রাজস্ব বাড়ার সম্ভাবনা
মদের দাম বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে রাজ্য সরকারের রাজস্ব আদায়ও বাড়বে বলে মনে করছে প্রশাসনিক মহল। যদিও ঠিক কতটা রাজস্ব বৃদ্ধি হবে, তা এখনই বলা সম্ভব নয়। দফতরের মতে, নতুন শুল্কহার কার্যকর হওয়ার পর প্রায় এক মাস কাটলেই রাজস্ব বৃদ্ধির সঠিক হিসেব পাওয়া যাবে।
আরো পড়ুন: জাহানারা আলমের বিস্ফোরক অভিযোগে তোলপাড় বাংলাদেশ ক্রিকেট
নির্বাচনের আগে রাজস্ব বৃদ্ধির গুরুত্ব
রাজ্যের রাজনৈতিক মহলের একাংশের মতে, আগামী বছর বিধানসভা নির্বাচন সামনে রেখে এই রাজস্ব বৃদ্ধির পদক্ষেপটি সরকারের কাছে অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। কারণ, নির্বাচনের আগে রাজ্য সরকার নতুন কিছু জনকল্যাণমূলক প্রকল্প ঘোষণা করতে পারে, যার অর্থায়নে এই অতিরিক্ত রাজস্ব বড় ভূমিকা নেবে।
সব মিলিয়ে, ডিসেম্বরের শুরু থেকেই মদের বাজারে পরিবর্তনের হাওয়া বইতে চলেছে, আর সেই সঙ্গে রাজ্য সরকারের আয় বাড়ার আশাও জেগেছে।



