বাংলাদেশ মহিলা ক্রিকেট দলের সাবেক নির্বাচক ও ম্যানেজার মঞ্জুরুল ইসলামের বিরুদ্ধে ক্রিকেটার জাহানারা আলম মধ্য থেকে ওঠা যৌন হেনস্তার অভিযোগ দেশজুড়ে এক বিপজ্জনক সাড়া তুলেছে। জাহানারা কাহিনি বলেছে, জাতীয় দলে খেলতে থাকা সময় তিনি দিনের পর দিন যৌন নির্যাতনের শিকার হয়েছেন আর অভিযোগের তীর সরাসরি মঞ্জুরুলের দিকে।
অভিযোগের তীব্রতা কম নয়; কিন্তু মঞ্জুরুল ওই সব অভিযোগকে ভিত্তিহীন ও মিথ্যা বলে উড়িয়ে দিয়েছেন। যদিও ব্যক্তিগতভাবে উভয়পক্ষের বক্তব্য আলাদা, ঘটনাটাকে হালকাভাবে নেওয়া হচ্ছে না সংবাদ মাধ্যম ও ক্রিকেট বোর্ড দু’পক্ষই পুরো ঘটনা যত্ন করে দেখা চাইছে।
বিসিবি সভাপতি আমিনুল ইসলাম এক সরকারি বার্তায় বলেছেন, “দোষী প্রমাণিত হলে কাউকে ছাড়া হবে না; আমাদের নীতি জিরো টলারেন্স।” তিনি স্পষ্ট করে বলেছেন, কাউকে আইনের ঊর্ধ্বে রাখা হবে না। তবে একই সঙ্গে তিনি সতর্কও করেছেন অভিযুক্তদেরও সময় দিতে হবে, কারণ দ্রুত সিদ্ধান্তে কারও জীবন খারাপভাবে প্রভাবিত হতে পারে। তাই তদন্তে সময় লাগবে তবুও শেষ পর্যন্ত ন্যায় নিশ্চিত করা হবে।
আরো পড়ুন: গৌতম গম্ভীরের কড়া বার্তা: তিন মাসের মধ্যেই তৈরি হবে ভারতের টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ দল
ঘটনার প্রেক্ষিতে বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ড তিন সদস্যের একটি তদন্ত কমিটি গঠন করেছে। এ কমিটির নেতৃত্বে আছেন অবসরপ্রাপ্ত বিচারপতি তারিক উল হাকিম। তাঁর সঙ্গে রয়েছেন বিসিবি কর্মকর্তা রুবাবা দৌলা এবং সুপ্রিম কোর্টের সিনিয়র অ্যাডভোকেট ব্যারিস্টার সারওয়াত সিরাজ শুক্লা। কমিটিকে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে ১৫ দিনের মধ্যে তদন্ত শেষ করে রিপোর্ট জমা দিতে।
ক্রিকেট পরিবার ও সাধারণ মানুষের নজর এখন তদন্তের উপরে; প্রত্যাশা, দ্রুত ও স্বচ্ছভাবে সত্য উদ্ঘাটন হবে, আর যদি কাউকে দোষী প্রমাণিত হয়, তাহলে উপযুক্ত শাস্তি দেওয়া হবে। অপরদিকে, যাদের বিরুদ্ধে অভিযোগ আনা হয়েছে, তাঁদের প্রতি প্রক্রিয়ার মধ্যে ন্যায্যতা দেখানোরও আহ্বান রয়েছে। পুরো ঘটনা অনুসরণ করে মৌনেই নয় রাজনৈতিক বা সামাজিক প্রভাব বোঝার জন্য সংবাদগুলোর ওপর মানুষের দৃষ্টি এখন জোরদার।




One thought on “জাহানারা আলমের বিস্ফোরক অভিযোগে তোলপাড় বাংলাদেশ ক্রিকেট, তদন্তে নেমেছে বিসিবি”