ঐতিহাসিক আইএফএ শিল্ড ফাইনালে ফের মুখোমুখি মোহনবাগান ও ইস্টবেঙ্গল। ফের একবার কলকাতার মাটিতে শুরু হতে চলেছে শতবর্ষের সেই অমলিন লড়াই ডার্বি! শহর জুড়ে এখন শুধুই ফুটবলের গন্ধ, উন্মাদনা, আর লাল-হলুদের সঙ্গে সবুজ-মেরুনের চিরন্তন প্রতিদ্বন্দ্বিতা।
মরশুমের শুরুতেই ডুরান্ড কাপের ডার্বিতে হারের তিক্ত অভিজ্ঞতা হয়েছে মোহনবাগানের। তাই এবার সেই ছবি বদলাতে মরিয়া সবুজ-মেরুন শিবির। কোচ জোসে মোলিনা ভালো করেই জানেন এই ম্যাচে জয় মানেই মরশুমের ছন্দ ফিরে পাওয়া। অন্যদিকে, অস্কার ব্রুজোনের ইস্টবেঙ্গলও প্রথম ট্রফি জয়ের জন্য তৈরি। দুই শিবিরেই চলছে হুঙ্কার আর পালটা হুঙ্কার, যেন মাঠে নামার আগেই শুরু হয়ে গেছে লড়াই।
ডার্বি মানেই অনিশ্চয়তা
ফুটবলবিশ্বে একটাই সত্য ডার্বি সবসময়ই ৫০-৫০ ম্যাচ। কে যে কখন বাজিমাত করবে, কেউ জানে না। তবু সাম্প্রতিক পারফরম্যান্সে একটু এগিয়ে মনে হচ্ছে ইস্টবেঙ্গলকে। দলের বিদেশিরা যেমন ধারাবাহিক, তেমনি স্থানীয় ফুটবলাররাও দারুণ ছন্দে আছেন। মিডফিল্ডের নিয়ন্ত্রণ ও আক্রমণে গতিময়তা লাল-হলুদ শিবিরকে আত্মবিশ্বাসী করে তুলেছে।
মোলিনার মিশন ‘পাল্টা ঘুরে দাঁড়ানো’
ডুরান্ডে হারের পর মোলিনার নজর এবার শুধুই জয়ে। তিনি জানেন, এই ডার্বি জিততে পারলেই বদলে যাবে দলের বাইরের ছবি। সুপার কাপের আগে এমন এক জয়ের প্রভাব পড়বে গোটা মরশুমে। শোনা যাচ্ছে, ফাইনালে তিনি দলে কিছু কৌশলগত পরিবর্তন আনতে পারেন। বিশেষ করে আক্রমণে আগ্রাসন ও ডিফেন্সে দৃঢ়তা বাড়াতে চান তিনি।
অস্কারের চোখ প্রথম ট্রফিতে
ইস্টবেঙ্গল কোচ অস্কার ব্রুজোন মরশুমের শুরুতেই ট্রফি জয়ের মাধ্যমে দলের আত্মবিশ্বাস গড়ে তুলতে চান। তাঁর মূল ফোকাস ডিফেন্সে স্থিরতা ও মিডফিল্ডের ভারসাম্য। অস্কার জানেন, শিল্ড জেতা মানে শুধু ট্রফি নয়, বরং লাল-হলুদ সমর্থকদের মধ্যে বিশ্বাস ফিরিয়ে আনা।
মরশুমের প্রথম বড় লড়াই
সব মিলিয়ে, এই আইএফএ শিল্ড ফাইনাল শুধু একটি ম্যাচ নয়, বরং আবেগের, গৌরবের, আর ঐতিহ্যের প্রতীক। একদিকে মোলিনার প্রতিশোধ স্পৃহা, অন্যদিকে অস্কারের ট্রফি তৃষ্ণা এই দুই মন্ত্রে মেতে উঠবে পুরো কলকাতা।
শনিবার রাতের আলোয় যখন নামবে দুই দল, তখন গ্যালারিতে একটাই প্রশ্ন প্রতিধ্বনিত হবে:
শেষে হাসি কার মুখে ফুটবে? লাল-হলুদ, না সবুজ-মেরুন?