অস্ট্রেলিয়ার বিরুদ্ধে সাদা বলের সিরিজ শেষ। এবার শুভমন গিলদের সামনে নতুন চ্যালেঞ্জ দক্ষিণ আফ্রিকার বিরুদ্ধে লাল বলের টেস্ট সিরিজ। টেস্ট বিশ্বচ্যাম্পিয়ন টেম্বা বাভুমার দলকে হারাতে ইতিমধ্যেই রণকৌশল সাজাতে শুরু করেছেন ভারতীয় দলের প্রধান কোচ গৌতম গম্ভীর।
সূত্রের খবর, দলে থাকা তিন ক্রিকেটারকে নিয়ে কিছুটা অসন্তুষ্ট গম্ভীর। তবে এক জনকে বাদ দিয়ে সমস্যা সমাধানের পথে হাঁটতে চান তিনি।
ইডেনে শুরু প্রথম টেস্ট
১৪ নভেম্বর থেকে ইডেন গার্ডেন্সে শুরু হতে চলেছে ভারত-দক্ষিণ আফ্রিকা প্রথম টেস্ট। সাধারণত ইডেনের উইকেট প্রথম দু’দিন পেসারদের জন্য কিছুটা সহায়ক হলেও ব্যাটিং খুব একটা কঠিন হয় না। তৃতীয় দিন থেকে স্পিনাররা উইকেট থেকে সাহায্য পান। তাই গম্ভীরের পরিকল্পনায় স্পিন-বোলিং অলরাউন্ডারদের ভূমিকা থাকবে গুরুত্বপূর্ণ। জানা গেছে, ইডেন টেস্টের প্রথম একাদশে দুই উইকেটরক্ষক-ব্যাটারকে রাখতে পারেন তিনি।
দুরন্ত ফর্মে ধ্রুব জুরেল
ঘরোয়া ক্রিকেটে ধারাবাহিক ভাবে দুর্দান্ত ফর্মে রয়েছেন ধ্রুব জুরেল। দক্ষিণ আফ্রিকা ‘এ’ দলের বিরুদ্ধে দ্বিতীয় বেসরকারি টেস্টে তিনি খেলেছেন ১২৭ রানের ইনিংস। শেষ আট ইনিংসের মধ্যে চারটিতে শতরান করেছেন তিনি। তাই গম্ভীর ও টিম ম্যানেজমেন্ট প্রথম একাদশ থেকে তাঁকে বাদ দেওয়ার ঝুঁকি নিতে চাইছেন না। অন্যদিকে, চোট সারিয়ে ফিরে আসা ঋষভ পন্থ দলের সহ-অধিনায়ক তাকেও বাইরে রাখা সম্ভব নয়। ফলে গম্ভীর জুরেলকে বিশেষজ্ঞ ব্যাটার হিসেবে খেলানোর দিকেই ঝুঁকছেন।
ব্যাটিং অর্ডারে পরিবর্তনের ইঙ্গিত
বোর্ডের এক কর্তা জানিয়েছেন, জুরেলকে তিন বা ছ’নম্বর ব্যাটিং পজিশনে দেখা যেতে পারে। সাই সুদর্শন ধারাবাহিকভাবে রান পাচ্ছেন না, তাই তাঁর জায়গায় নামতে পারেন জুরেল। একই সঙ্গে নীতীশ কুমার রেড্ডির পরিবর্তেও তাঁকে দলে রাখার সম্ভাবনা প্রবল। কারণ রেড্ডি ব্যাট হাতে খুব একটা প্রভাব ফেলতে পারছেন না, যেখানে জুরেল বর্তমানে দুর্দান্ত ফর্মে।
পন্থকে ‘সতর্কবার্তা’?
গম্ভীর নাকি পন্থের অতিরিক্ত আগ্রাসী ব্যাটিংয়ে কিছুটা বিরক্ত। কোচ মনে করছেন, পরিস্থিতি বুঝে খেলার জায়গায় পন্থ অনেক সময় অপ্রয়োজনীয় ঝুঁকি নিচ্ছেন। তাই প্রথম একাদশে জুরেলকে রেখে কোচ একপ্রকার ‘সতর্কবার্তা’ দিতে পারেন সহ-অধিনায়ককে।
আরো পড়ুন: ১২৮ বছর পর অলিম্পিকে ফিরছে ক্রিকেট
সব মিলিয়ে, দক্ষিণ আফ্রিকার বিরুদ্ধে ইডেন টেস্টে ভারতীয় দলকে দেখা যেতে পারে একদম নতুন রূপে। গম্ভীর চান লম্বা ব্যাটিং অর্ডার এমন আটজন খেলোয়াড় যারা ব্যাট হাতে অবদান রাখতে পারেন। তাঁর পরিকল্পনা অনুযায়ী চারজন বিশেষজ্ঞ বোলার থাকবেন দুই স্পিনার ও দুই পেসার। তাই ধরে নেওয়া যায়, ইডেনে দুই উইকেটরক্ষক-ব্যাটারকে নিয়েই নামবে ভারত।



