১২৮ বছর পর আবারও অলিম্পিক মঞ্চে ফিরছে ক্রিকেট। আসন্ন ২০২৮ সালের লস অ্যাঞ্জেলস অলিম্পিকে টি-টোয়েন্টি ফরম্যাটে পুরুষ ও মহিলাদের ক্রিকেট প্রতিযোগিতা আয়োজনের ঘোষণা ইতিমধ্যেই দিয়েছে আন্তর্জাতিক অলিম্পিক কমিটি। কিন্তু এই আনন্দের মাঝেই এক অস্বস্তিকর পরিস্থিতিতে পড়েছে পাকিস্তান ক্রিকেট দল।
যোগ্যতা অর্জনে পিছিয়ে পাকিস্তান
আইসিসি অলিম্পিকে অংশ নেওয়ার জন্য যে যোগ্যতার মানদণ্ড নির্ধারণ করেছে, তার কাছাকাছিও নেই পাকিস্তান। অন্যদিকে ভারত, অস্ট্রেলিয়া, দক্ষিণ আফ্রিকার মতো দেশগুলির অবস্থান অনেকটাই মজবুত। ফলে যেখানে ভারতের খেলার সম্ভাবনা একেবারে উজ্জ্বল, সেখানে পাকিস্তানকে দেখা যাবে কি না, তা নিয়ে তৈরি হয়েছে বড়সড় প্রশ্নচিহ্ন।
কোন কোন দল পাবে অলিম্পিকের টিকিট
২০২৮ সালের অলিম্পিকে মোট ৬টি পুরুষ দল এবং ৬টি মহিলা দল অংশ নেবে। ১২ জুলাই থেকে শুরু হয়ে ১৭ দিন ধরে চলবে ক্রিকেট প্রতিযোগিতা। আইসিসি জানিয়েছে, প্রতিটি মহাদেশ থেকে একটি করে দেশ সুযোগ পাবে এশিয়া, ইউরোপ, ওশিয়ানিয়া এবং আফ্রিকা থেকে র্যাঙ্কিংয়ে শীর্ষে থাকা দলগুলো সরাসরি যোগ্যতা অর্জন করবে।
বর্তমান র্যাঙ্কিং অনুযায়ী, এশিয়া থেকে ভারত, আফ্রিকা থেকে দক্ষিণ আফ্রিকা, ওশিয়ানিয়া থেকে অস্ট্রেলিয়া, আর ইউরোপ থেকে গ্রেট ব্রিটেন (ইংল্যান্ড, স্কটল্যান্ড ও নর্দার্ন আয়ারল্যান্ডের যৌথ দল) জায়গা করে নিতে পারে। আয়োজক দেশ হিসেবে আমেরিকার স্থান প্রায় নিশ্চিত, তবে তাদের ক্রিকেট বোর্ডের উপর কিছু নিষেধাজ্ঞা থাকায় ওয়েস্ট ইন্ডিজকে অগ্রাধিকার দেওয়া হতে পারে।
আরো পড়ুন: বিশ্বজয়ী ভারতীয় মহিলা দলকে সংবর্ধনা দিলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি
শেষ টিকিটের লড়াই শুরু হবে শীঘ্রই
বাকি থাকা একটি স্থান নির্ধারিত হবে যোগ্যতা অর্জন পর্বের মাধ্যমে। সেখানে নিউজিল্যান্ড, শ্রীলঙ্কা, এমনকি সম্ভাব্যভাবে পাকিস্তানও থাকতে পারে। তবে বর্তমান র্যাঙ্কিং অনুযায়ী পাকিস্তানের সুযোগ খুবই কম।
ভারত–পাকিস্তান মুখোমুখি হবে কি?
সবশেষে প্রশ্ন থেকে যায় অলিম্পিকে কি দেখা যাবে ভারত-পাকিস্তান দ্বৈরথ? ক্রিকেটবিশেষজ্ঞদের মতে, দুই দল যোগ্যতা পেলেও সম্ভবত তাদের এক গ্রুপে ফেলা হবে না। সব মিলিয়ে, ক্রিকেটপ্রেমীদের চোখ এখন লস অ্যাঞ্জেলসের দিকে যেখানে ১২৮ বছর পর আবারও ইতিহাস গড়তে চলেছে ক্রিকেট।



