দুনিয়াজুড়ে ব্যবসা ও অর্থনীতির চেহারা বদলে দিচ্ছে কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা বা AI। শুধু বড় বড় টেক কোম্পানিই নয়, ছোট ও মাঝারি ব্যবসাগুলিও এখন AI-কে কাজে লাগিয়ে উৎপাদনশীলতা বাড়াতে, খরচ কমাতে এবং দ্রুত সিদ্ধান্ত নিতে আগ্রহী। বাজার বিশেষজ্ঞরা বলছেন, আগামী পাঁচ বছরে ভারতের AI-চালিত অর্থনীতি ট্রিলিয়ন ডলারের গণ্ডি ছুঁয়ে দিতে পারে।
AI এখন আর শুধু ভবিষ্যতের প্রযুক্তি নয় এটা বাস্তব। প্রতিদিন ব্যাংকিং, রিটেইল, হেল্থকেয়ার, ম্যানুফ্যাকচারিং, এমনকি মিডিয়া পর্যন্ত নানা ক্ষেত্রে এই প্রযুক্তি ব্যবহৃত হচ্ছে। গ্রাহক সেবা দিতে AI চ্যাটবট, ব্যবসার তথ্য বিশ্লেষণে মেশিন লার্নিং, আর প্রোডাক্টিভিটি বাড়াতে স্বয়ংক্রিয় টুল সব মিলিয়ে AI হয়ে উঠছে প্রতিটি খাতের অপরিহার্য অংশ।
কর্পোরেট মহলে ধারণা, AI গ্রহণে দেরি করলে বাজারে প্রতিযোগিতায় টিকে থাকা কঠিন হয়ে পড়বে। কারণ AI শুধু শ্রম বাঁচায় না, ভুল কমায়, গতি বাড়ায় এবং ব্যবসায়িক সিদ্ধান্ত আরও সঠিক করে তোলে। বিশেষজ্ঞদের মতে, যে কোম্পানি দ্রুত AI ব্যবহার করতে শিখবে, তারাই ভবিষ্যতে বাজারের নেতৃত্ব দেবে।
তবে উদ্বেগও কম নয়। AI যত দ্রুত বাড়ছে, ততই উঠে আসছে চাকরি কমে যাওয়ার আশঙ্কা, তথ্য নিরাপত্তার ঝুঁকি এবং প্রযুক্তির ওপর অতিরিক্ত নির্ভরশীলতার সমস্যা। অনেকেই বলছেন, AI মানুষের কাজ ছিনিয়ে নেবে। আবার অন্য বিশেষজ্ঞরা মনে করেন, AI নতুন নতুন চাকরির সুযোগও তৈরি করবে, শুধু কর্মীদের দক্ষতা বাড়াতে হবে।
আরো পড়ুন: ভুটান থেকে ফিরেই হাসপাতালে মোদি, দিল্লি বিস্ফোরণে আহতদের খোঁজ নিলেন নিজে
ভারতে AI শিল্পে বিনিয়োগ দ্রুত বাড়ছে। কেন্দ্র ও রাজ্য সরকার বিভিন্ন ক্ষেত্রে AI-ভিত্তিক প্রকল্প চালু করছে ফসলের উৎপাদন অনুমান থেকে শুরু করে স্বাস্থ্যসেবা ব্যবস্থাপনা পর্যন্ত। স্টার্টআপ দুনিয়াও AI-নির্ভর নতুন নতুন পরিষেবা নিয়ে এগিয়ে আসছে। সব মিলিয়ে স্পষ্ট, AI কোনো সাময়িক ট্রেন্ড নয় অর্থনীতির ভবিষ্যৎ নির্ধারণে এটি বড় ভূমিকা নেবে। ব্যবসায়িক প্রতিষ্ঠানের জন্য এখন সবচেয়ে বড় চ্যালেঞ্জ হলো কীভাবে দ্রুত, নিরাপদ ও দায়িত্বশীলভাবে কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তাকে কাজে লাগানো যায়।



