তিনি ভোটকুশলী প্রশান্ত কিশোর। ভারতের রাজনীতি সচেতন মানুষ একডাকে চেনে তাঁকে। ভারতীয় রাজনীতির এই স্ট্রাইকার কাম কোচের ওপর ভর করে একাধিক দল কেন্দ্র এবং রাজ্যে সরকার গঠন করতে সক্ষম হয়েছে অতীতে।
২০১৪ সালে প্রশান্ত কিশোরের কৌশলে ভর করে মোদী-ম্যাজিক দেখেছিল দেশ। ২০২১ এ পশ্চিমবঙ্গে তৃণমূলের বিপুল জনাদেশ নিয়ে সরকার গঠনের পিছনেও ছিল কিশোরের কৌশল। যিনি একাধিক রাজনৈতিক নেতার ভবিষ্যৎ গড়ে দিয়েছেন, এবার তাঁর ভবিষ্যৎ নিয়ে উঠে গেল প্রশ্ন।
লোকসভা ভোটের ফলাফল নিয়ে বেশ কিছুদিন ধরেই নিজের মতামত ব্যক্ত করছিলেন প্রশান্ত। একাধিক টিভি চ্যানেলের সাক্ষাৎকারে তিনি দ্ব্যর্থহীন ভাষায় জানিয়েছেন যে, ৪০০ আসনের লক্ষ্যমাত্রা পূরণ না হলেও এককভাবে ম্যাজিক ফিগারে অবশ্যই পৌঁছাতে পারবে বিজেপি।
তিনি আরো বলেন ২০১৯ এর থেকেও ভালো ফল করবে বিজেপি। তারা কোনোভাবেই ২৭০ এর কম আসন পাবে না। অন্যদিকে এনডিএ জোট ৩৫০ আসন পেতে পারে বলেও মনে করেছিলেন তিনি। পশ্চিমবঙ্গের ক্ষেত্রেও তিনি বলেছিলেন, বিজেপি এখানে আগের থেকে ভালো ফল করবে এবং পশ্চিমবঙ্গের একক বৃহত্তম দলে পরিণত হবে।
সন্দেশখালি ইস্যু শাসকদল তৃণমূলের বিপক্ষে যাবে বলেই কার্যত হুঁশিয়ারি দিয়েছিলেন তিনি। কিন্তু ভোটের ফল প্রকাশের পর দেখা গেল ভিন্ন চিত্র। প্রশান্ত কিশোরের সব ভবিষ্যদ্বাণী কার্যত বিফলে গেছে। দেশে এবং রাজ্যে বিজেপি মুখ থুবড়ে পড়েছে। এমনকি সন্দেশখালিতে রেকর্ড ভোটে জিতেছে তৃণমূল কংগ্রেস।
এই পরিস্থিতিতে নিজের ভুল স্বীকার করে নিয়ে প্রশান্ত কিশোর জানিয়েছেন ভবিষ্যতে এরকম কোনো ভবিষ্যদ্বাণী আর করবেন না তিনি। আপাতত বিহারের মাটিতে নিজের রাজনৈতিক দল জন সুরাজ পার্টির সংগঠন গড়তে ব্যস্ত তিনি।