মেডিক্যাল পরীক্ষায় অনিয়মের অভিযোগ তুলে কলকাতা হাইকোর্টের দৃষ্টি আকর্ষণ করা হয়েছিল। এবার সেই ঘটনায় ন্যাশনাল টেস্টিং এজেন্সির (NTA) হলফনামা তলব করল কলকাতা হাইকোর্ট। ৬ জুন বৃহস্পতিবার মামলাটি ওঠে মহামান্য বিচারপতি কৌশিক চন্দ এবং মহামান্য বিচারপতি অপূর্ব সিংহ রায়ের ডিভিশন বেঞ্চে।
ডিভিশন বেঞ্চের নির্দেশ মতো আগামী ১০ দিনের মধ্যে হলফনামা দিতে হবে NTA-কে। এই মামলার রায়ের ওপর নির্ভর করবে নিট পরীক্ষার্থীদের ভবিষ্যৎ। ফের দুই সপ্তাহ পরে মামলাটি শুনবে হাইকোর্ট। তবে এবার মামলাটি শুনবেন প্রধান বিচারপতির ডিভিশন বেঞ্চ। কেন্দ্র এবং রাজ্যের সংরক্ষণ নীতি মেনে মেধাতালিকা প্রকাশ করার নির্দেশ দিয়েছে কলকাতা হাইকোর্ট।
হাইকোর্টে মামলাকারীর বক্তব্য ছিল নিট পরীক্ষার মোট নাম্বার ৭২০। প্রতিটি প্রশ্নের জন্য ৪ নং করে বরাদ্দ। ফলে কোনোভাবেই কোনো প্রার্থী ৭১৮ বা ৭১৯ পেতে পারে না! এই বিষয়টিই NTA-এর কাছে হলফনামার আকারে জানতে চেয়েছে কলকাতা হাইকোর্ট।
গত ৪ জুন লোকসভা নির্বাচনের ফলাফলের দিন প্রকাশিত হয়েছে নিট পরীক্ষার ফলাফল। এই ঘটনায় রাজনৈতিক মহলে চাঞ্চল্যের সৃষ্টি হয়েছে। বিষয়টি নিয়ে ইতিমধ্যে সরব হয়েছে প্রধান বিরোধী রাজনৈতিক দল কংগ্রেস।
প্রাক্তন কেন্দ্রীয় বনসম্পদ এবং পরিবেশ মন্ত্রী জয়রাম রমেশের মতে কেন্দ্রীয় সরকার ইচ্ছে করেই ৪ জুন নিট পরীক্ষার ফল বের করেছে, যাতে নির্বাচনী ফলাফলের মধ্যে বিষয়টি চাপা পড়ে যায়। কারণ নিট পরীক্ষার ফলাফল প্রকাশের পূর্ব নির্ধারিত তারিখ ছিল ১৪ জুন। হঠাৎ করে তা এগিয়ে আনার কারণে রাজনৈতিক মহলে শোরগোল পড়েছে।
প্রসঙ্গত এই বছর নিট পরীক্ষায় ৭২০ নম্বরের মধ্যে ৭২০ নম্বর পেয়ে প্রথম হয়েছে প্রায় ৭০ জন। এদের মধ্যে হরিয়াণার এক পরীক্ষা কেন্দ্র থেকে প্রায় ৬ জন রয়েছে। এই রাজ্যেই প্রথম প্রশ্নফাঁসের অভিযোগ ওঠেছিল।
যদিও পুরো ঘটনায় NTA-মুখ খুলতে চায়নি। আগামী দিনে কলকাতা হাইকোর্ট কী নির্দেশ দেয়, সেদিকেই তাকিয়ে আছে গোটা দেশ।