ভোটার তালিকার বিশেষ সংশোধনী নিয়ে মামলা কলকাতা হাইকোর্টে, বাড়ছে রাজনৈতিক উত্তাপ

calcutta high court

calcutta high court

ভোটার তালিকার বিশেষ নিবিড় সংশোধনী (SIR) নিয়ে এবার নতুন মোড়। বিষয়টি নিয়ে সরাসরি আদালতের দ্বারস্থ হলেন এক মামলাকারী। শুক্রবার কলকাতা হাইকোর্টে মামলা দায়েরের অনুমতি চেয়ে ভারপ্রাপ্ত প্রধান বিচারপতির কাছে আবেদন জানানো হয়।

পরে হাইকোর্টের ভারপ্রাপ্ত প্রধান বিচারপতি সুজয় পাল এবং বিচারপতি স্মিতা দাসের ডিভিশন বেঞ্চ জনস্বার্থ মামলা দায়েরের অনুমতি দেন।

আদালতের নজরদারিতে হোক SIR প্রক্রিয়া দাবি মামলাকারীর

মামলাকারীর দাবি, ভোটার তালিকার সংশোধনের প্রক্রিয়া যেন আদালতের নজরদারিতে হয়। তাঁর প্রশ্ন এই SIR-এর প্রয়োজনই বা কী? নির্বাচন কমিশনের কাছে তিনি জানতে চেয়েছেন, কেন হঠাৎ করে বিশেষ নিবিড় সংশোধনীর উদ্যোগ নেওয়া হল? পাশাপাশি তিনি ২০০২ সালের সম্পূর্ণ ভোটার তালিকা প্রকাশের দাবিও তুলেছেন। একইসঙ্গে SIR-এর সময়সীমা বাড়ানোর আবেদন জানিয়েছেন আদালতের কাছে।

আরো পড়ুন: এসআইআরের প্রস্তুতিতে মাঠে তৃণমূল, ৬ হাজারেরও বেশি নেতা-কর্মীর সঙ্গে ভারচুয়াল বৈঠকে অভিষেক

নভেম্বর থেকে ঘরে ঘরে BLO, ডিসেম্বর প্রকাশ খসড়া তালিকা

নির্বাচন কমিশন ইতিমধ্যেই জানিয়েছে, ২৭ অক্টোবর থেকে বাংলা-সহ ১২টি রাজ্য ও কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলে শুরু হয়েছে বিশেষ নিবিড় সংশোধনী প্রক্রিয়া। সেই অনুযায়ী রাজ্যের বিভিন্ন এলাকায় বুথ লেভেল অফিসাররা (BLO) ৪ নভেম্বর থেকে ঘরে ঘরে গিয়ে ফর্মপূরণের কাজ শুরু করবেন। খসড়া ভোটার তালিকা প্রকাশ করা হবে আগামী ৯ ডিসেম্বর।

রাজনীতিতে তোলপাড়, আতঙ্কে আত্মহত্যার ঘটনাও

SIR ঘোষণা হওয়ার পর থেকেই রাজ্যে রাজনৈতিক অস্থিরতা বাড়ছে। শাসক দল তৃণমূলের অভিযোগ, এই প্রক্রিয়ার নামে সাধারণ মানুষের মধ্যে অযথা আতঙ্ক তৈরি করা হচ্ছে। ইতিমধ্যেই SIR আতঙ্কে রাজ্যে একাধিক আত্মহত্যার ঘটনা ঘটেছে। উত্তর ২৪ পরগনার পানিহাটিতে আত্মঘাতী হয়েছেন প্রদীপ কর, তাঁর সুইসাইড নোটে উল্লেখ রয়েছে এনআরসি-ভীতির কথা। একইভাবে বীরভূমের ইলামবাজারে ৯৫ বছরের ক্ষিতীশ মজুমদারও প্রাণ দিয়েছেন আতঙ্কে। দিনহাটার এক বাসিন্দা ভোটার তালিকায় নাম বাদ যাওয়ার ভয়ে বিষ খেয়ে আত্মহত্যা করেছেন বলেও জানা গেছে।

SIR নিয়ে এখন রাজ্য জুড়ে বিতর্ক চরমে। এরই মধ্যে বিষয়টি আদালতে গড়ানোয় নজর এখন পুরোপুরি কলকাতা হাইকোর্টের দিকেই।

About The Author

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *